আটজনের মৃত্যুদণ্ড ব্লগার দীপন হত্যা মামলায়

আটজনের মৃত্যুদণ্ড ব্লগার দীপন হত্যা মামলায়

 

জাগৃতি প্রকাশনীর স্বত্ত্বাধিকারী প্রকাশক ও ব্লগার ফয়সল আরেফিন দীপন হত্যা মামলায় আট আসামির মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

আজ বুধবার (১০ ফেব্রুয়ারি) ঢাকার সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক মজিবুর রহমানের আদালত এ রায় ঘোষণা করেন।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- নিষিদ্ধ জঙ্গিগোষ্ঠী আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের সামরিক শাখার প্রধান সৈয়দ জিয়াউল হক জিয়া, মইনুল হাসান শামীম ওরফে সামির ওরফে ইমরান, আবদুর সবুর সামাদ ওরফে সুজন ওরফে রাজু ওরফে স্বাদ, খাইরুল ইসলাম ওরফে জামিল ওরফে জিসান, আবু সিদ্দিক সোহেল ওরফে সাকিব ওরফে সাজিদ ওরফে শাহাব, মোজাম্মেল হুসাইন ওরফে সায়মন ওরফে শাহরিয়ার, শেখ আব্দুল্লাহ ওরফে জুবায়ের ওরফে জায়েদ ওরফে জাবেদ ওরফে আবু ওমায়ের ও আকরাম হোসেন ওরফে হাসিব ওরফে আবির ওরফে আদনান ওরফে আব্দুল্লাহ।

মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০১৫ সালের ৩১ অক্টোবর আজিজ সুপার মার্কেটে নিজ প্রতিষ্ঠান জাগৃতি প্রকাশনীর কার্যালয়ে দীপনকে কুপিয়ে ও গলা কেটে হত্যা করা হয়। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক আবুল কাসেম ফজলুল হকের ছেলে।সেই ঘটনায় ফয়সল আরেফিন দীপনের স্ত্রী রাজিয়া রহমান শাহবাগ থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।এরপর ২০১৮ সালের ১৫ নভেম্বর সন্ত্রাসবিরোধী আইনে ওই মামলায় অভিযোগপত্র দেয় গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। তাতে এই ৮ জনকে অভিযুক্ত করা হয়।ডিবি পুলিশের তদন্তে উঠে আসে হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত ছিল নিষিদ্ধ জঙ্গিগোষ্ঠী আনসারুল্লাহ বাংলা টিম।

সংগঠনটির সামরিক প্রধান মেজর জিয়ার পরিকল্পনা এবং নির্দেশেই দীপনকে হত্যা করা হয়।মামলাটির আনুষ্ঠানিক বিচার কাজ শুরু হয় ২০১৯ সালের ১৩ অক্টোবর। সেদিন ঢাকার সন্ত্রাসবিরোধী ট্রাইব্যুনালের বিচারক মুজিবুর রহমান চাকরিচ্যুত মেজর সৈয়দ জিয়াউল হকসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন।এরপর বিচার প্রক্রিয়ার বিভিন্ন ধাপ পেরিয়ে গত ১৭ জানুয়ারি রাষ্ট্রপক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন হয়। তাতে ট্রাইব্যুনালের পাবলিক প্রসিকিউটর আসামিদের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড প্রার্থনা করেন।


Post a Comment

0 Comments