ভারতীয় চাল নিয়ে আরেকটি জাহাজ আসছে শনিবার

ভারতীয় চাল নিয়ে আরেকটি জাহাজ আসছে শনিবার

 

India secret show

সরকারিভাবে নগদ ক্রয়ের (ক্যাশ পারচেজ) আওতায় ভারত থেকে ১৯ হাজার ১০০ টন চাল নিয়ে আরও একটি জাহাজ আসছে চট্টগ্রাম বন্দরে। এমভি কেরেম নামে এই জাহাজটি আগামী শনিবার বন্দরের বহিঃনোঙ্গরে এসে পৌঁছাবে। এটি আমদানি করা চাল নিয়ে আসা তৃতীয় চালান। প্রথম চালানের জাহাজ এমভি সেঁজুতি ৪ হাজার ১১৩ টন নিয়ে এসেছিল ১৮ ডিসেম্বর। দ্বিতীয় চালানে ৫ হাজার ৮৬ টন নিয়ে এই জাহাজটি আবার এসেছে। এই জাহাজ থেকে এখন চট্টগ্রাম বন্দর শেডে চাল খালাসকরা হচ্ছে। আগামী ২০ জানুয়ারি ৬ হাজার ৯০০ টন চাল নিয়ে আরও একটি জাহাজ মোংলা বন্দরে আসার সিডিউল রয়েছে বলে জানিয়েছে খাদ্য বিভাগ। সরকারিভাবে চাল আসা অব্যাহত থাকার পাশাপাশি বেসরকারিভাবেও ৪ লাখ ৮৭ হাজার টন চাল আমদানির অনুমতি দেওয়ায় চালের মোকামসমূহে কমতে শুরু করেছে চালের দাম।

খাদ্য অধিদফতরের কন্ট্রোলার অব মুভমেন্ট অ্যান্ড সাপ্লাই অফিসের সহকারী কন্ট্রোলার সুনীল দত্ত সময়ের আলোকে জানান, সরকারের ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি জরুরি ভিত্তিতে ১ লাখ টন চাল ক্যাশ পারচেজের আওতায় আমদানির অনুমোদন দিয়েছে। এর প্রথম প্যাকেজে কেনা হয়েছে ৫০ হাজার টন চাল। যার ৭০ ভাগ চট্টগ্রাম বন্দরে এবং ৩০ ভাগ মোংলা বন্দরে পৌঁছানো হবে। এই চাল সরবরাহ করছে ভারতীয় প্রতিষ্ঠান পিকে এগ্রিলিংক। আগামী শনিবার বড় চালান নিয়ে যে জাহাজটি আসছে তা সহ মিলিয়ে চট্টগ্রামে আসা চালের পরিমাণ ২৮ হাজার ২৯৯ টন। মোংলা বন্দরে নাব্যতা না থাকায় জাহাজ ভিড়তে সমস্যা হচ্ছে বলে সেখানে সিডিউল করা চাল এখনও পৌঁছেনি। ভারতীয় সরবরাহকারী পিকে এগ্রিলিংক বাংলাদেশ সরকারের খাদ্য মন্ত্রণালয়ে একটি আবেদন করে বার্জের মাধ্যমে মোংলায় চাল পাঠানোর অনুমতি চেয়েছে। মন্ত্রণালয় এখনও সেই অনুমতি দেয়নি। আগামী ২০ জানুয়ারি ৬ হাজার ৯০০ টন চাল নিয়ে একটি জাহাজ মোংলা বন্দরে প্রেরণের সিডিউল দিয়েছে ভারতীয় সরবরাহকারী। প্রথম প্যাকেজের ৫০ হাজার টনের পর পর্যায়ক্রমে অবশিষ্ট চালও আসতে থাকবে। সব মিলিয়ে সরকারিভাবে আমদানি করা হবে ২ লাখ টন চাল। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানান, চারদফা বন্যায় এবং করোনাকালীন লকডাউনে ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে চাল বিতরণের ফলে সরকারি খাদ্য গুদামসমূহে মজুদ প্রায় তলানিতে গিয়ে ঠেকেছিল। আগের বছর এই সময়ে যেখানে মজুদের পরিমাণ ছিল সাড়ে ১১ লাখ টন তা এবার নেমে আসে ৫ লাখ টনে। এখন জরুরি ক্যাশ পারচেজের আওতায় আমদানি এবং খাদ্যশস্য সংগ্রহ অভিযানে সংগৃহীত চাল গুদামে উঠতে থাকায় মজুদের পরিমাণও ক্রমশ বাড়ছে। চাল নিয়ে কেন সঙ্কটের সম্ভাবনা এখন আর নেই। পুরো পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে। চালের দাম এখন কমেছে। আগামী কয়েকদিনের মধ্যে বাজারে চালের দাম আরও কমে আসবে।

Post a Comment

0 Comments