| প্রধান শিক্ষক জসীম উদ্দীন |
বরিশাল নগরীর আছমত আলী খান ( এ.কে) ইনস্টিটিউশনের প্রধান শিক্ষক এইচ. এম. জসীম উদ্দীনকে অনিয়ম ও বিধি বহির্ভূত ব্যয় অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে সাময়িক বরখাস্ত হয়েছে।শনিবার (১৯ ডিসেম্বর) প্রতিষ্ঠানের অফিস সহকারি মোঃ জামাল হোসেন সন্যামত স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়।
জানা গেছে- চলতি বছরের ১০ আগষ্ট থেকে নবগঠিত ম্যানেজিং কমিটি কার্যক্রম শুরু করার পর থেকে বিদ্যালয়ের বিগত দিনের বিভিন্ন অনিয়ম ও বিধি বহির্ভূত ব্যয় অর্থ আত্মসাত পরিলক্ষিত হয়। এক্ষেত্রে নবগঠিত ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি প্রধান শিক্ষক জনাব এইচ.এম জসীম উদ্দীনকে বিগত ২ সেপ্টেম্বর ব্যাখ্যা চেয়ে একটি পত্র পাঠায়। যার উত্তর সন্তোষজনক না হওয়ায় পরবর্তীতে ম্যানেজিং কমিটির সভায় আন্তঃ অডিটের জন্য সিদ্ধান্ত গ্রহন করা হয়। পরে সহকারী প্রধান শিক্ষক বশির আহম্মদ, সহকারী শিক্ষক মাওঃ জিয়াউল হক, সহকারী শিক্ষক মােঃ মামুন হাওলাদার, সহকারী শিক্ষক কে. এম তরিকুল ইসলাম নিয়ে এই অডিট কমিটি গঠন করা হয়।
এদিকে অডিটের আপত্তি গুলো হলো- বেস্ট ইলেকট্রনিক্স এর দুই মাসের ভাড়া মওকুফ, অযৌক্তিক ভাউচার প্রদান, তৎকালীন সভাপতির অনুপস্থিতিতে ব্যাংক থেকে টাকা উত্তোলন, করােনাকালীন সময়ে প্রণােদনা গ্রহণ, শিক্ষকদের ব্যাংকে গচ্ছিত গ্র্যাচুয়িটি হিসাব থেকে তিন সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করে ব্যাংক থেকে টাকা উত্তোলন ও সাবেক সভাপতির স্বাক্ষর জালিয়াতিকরণ।এ সকল ক্ষেত্রে বিধি মােতাবেক তদন্ত টিম গঠনের জন্য ম্যানেজিং কমিটিতে সিদ্ধান্ত গ্রহন করে। পরে সরকারী বি. এম. কলেজের সহযােগী অধ্যাপক মনােজ হালদার, সহকারী শিক্ষক মিসেস ইসরাত জাহান সিলভী, সহকারী শিক্ষক মােঃ মামুন হাওলাদারকে নিয়ে ৩ সদস্যের তদন্ত টিম গঠন করা হয়।
তদন্তে সাবেক সভাপতির স্বাক্ষর জালিয়াতি, বিধি বহির্ভূত ভাবে ব্যাংক থেকে টাকা উত্তোলন, ভাড়াটিয়ার ২ মাসের ভাড়া মওকুফ দেখিয়ে ১মাসের ভাড়া আত্মসাত, বিধি বহির্ভূত ভাবে বেস্ট ইলেকট্রনিক্সের নামে দুই মাসের ভাড়া মওকুফের প্রত্যয়ন প্রদান , ফেব্রুয়ারী ও মার্চ মাসে অকৃতকার্য ছাত্রদের কাছ থেকে ৭২ হাজার ৫০০ টাকা সংগ্রহ ও আত্মসাত, ৩নং স্টলের বিধি বহির্ভূতভাবে নাম পরিবর্তন উল্লেখ পূর্বক ব্যক্তিগতভাবে লক্ষাধিক টাকা আত্মসাত, ১ লাখ ৭৭ হাজার ৮৮০ টাকার ভাউচার বিধি বহির্ভূতভাবে প্রদর্শন করে আত্মসাত ও কমিটির অনুমােদন ছাড়া করােনাকালীন সময়ে নিজে এবং আরাে চারজন কর্মচারীকে ১ লাখ ২ হাজার ৯০০টাকা অতিরিক্ত ভাতা গ্রহন, তদন্তাধীন সময়কালীন অবৈধভাবে বিদ্যালয়ের বিদ্যুৎ তার বাসভবনে সংযােগ করে বিদ্যালয়ের আর্থিক ক্ষতিসাধন এবং ঈদগাহ মাঠে জমির বৈধ ভাড়াটিয়া থাকাকালীন অনিয়মতান্ত্রিকভাবে দুই ব্যক্তির কাছে শুধু মাত্র আবেদিত কাগজে স্বাক্ষর করে ৪৮ হাজার টাকা আত্মসাতের বিষয়টি প্রমাণিত হয়।
এছাড়াও বিধি বহির্ভূত বিভিন্ন অনিয়মের কারণে প্রধান শিক্ষক এইচ. এম. জসীম উদ্দীনের বিরুদ্ধে বিদ্যালয়ের সকল শিক্ষক ও কর্মচারী লিখিত অনাস্তা প্রদান করেন। এর ভিত্তিতে গত ১৫ ডিসেম্বর ম্যানেজিং কমিটির মিটিং এ তাকে সাময়িক বরখাস্ত করার জন্য সর্ব সম্মতিক্রমে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।”



0 Comments
Thanks your Response.