মোংলা বন্দর থেকে আমদানিকৃত পণ্য খোয়া যাওয়ার ঘটনায় পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি)। মোংলা বন্দর থেকে পণ্য খোয়া যাওয়ার সঙ্গে বন্দরের অসাধু কর্মকর্তা ও কর্মচারী, লেবার সরদার, সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট ও চোরাই মাল বিক্রেতাদের সিন্ডিকেট জড়িত বলে আজ সোমবার সাংবাদিকদের জানিয়েছেন ডিবি (লালবাগ) উপকমিশনার রাজীব আল মাসুদ।
যে পাঁচজন গ্রেপ্তার হয়েছেন তাঁরা হলেন, ঢাকার ইসলামপুরের কাপড় বিক্রেতা শামসুল আরেফিন ও মনির হোসেন, চট্টগ্রামের টেরিবাজারের কাপড় ব্যবসায়ী কাশেম, সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট পানগুচি এন্টারপ্রাইজের অরুণ ও লেবার সরদার সাগর। এ ঘটনায় নজরদারিতে আছেন আরও ১০ থেকে ১৫ জন।
অভিযানটি পরিচালনা করেন ডিবির অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার মো. সাইফুর রহমান আজাদ।ডিবি বলছে, চীন থেকে আমদানিকৃত পণ্য বন্দর থেকে খালাস হওয়ার আগেই ইসলামপুরে বিক্রি হচ্ছে, এমন অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে তারা কাজ শুরু করে। গত ৯ সেপ্টেম্বর তারা ইসলামপুরের আইটিসি টাওয়ারের আফরোজা টেক্সটাইলের গুদাম থেকে খোয়া যাওয়া কাপড়ের ৯২ হাজার ৬৭২ গজ জব্দ করে।
বন্দরে মাল খোয়া যাওয়ার ঘটনায় নিরাপত্তাব্যবস্থার কোথাও গলদ আছে কি না, তা খতিয়ে দেখা হবে
উপকমিশনার রাজীব আল মাসুদ
উপকমিশনার রাজীব আল মাসুদ আরও বলেন, এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে বন্দর কর্তৃপক্ষকে জানানো হবে। মোংলা বন্দর অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ জায়গা। এখানে নিরাপত্তা বিঘ্নিত হওয়ার নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বন্দরে মাল খোয়া যাওয়ার ঘটনায় নিরাপত্তাব্যবস্থার কোথাও গলদ আছে কি না, তা খতিয়ে দেখা হবে।
কীভাবে এই মাল খোয়া গেছে তার ব্যাখ্যায় উপকমিশনার রাজীব আল মাসুদ বলেন, ক্ষতিগ্রস্ত ৩৫ টন মাল, খালাসের সময় ওজন দিয়ে দেখা যায় ৬ টন। পরে অনুসন্ধানে জানা যায়, মাল খালাসের জন্য দুটি পরিবহনের দরকার ছিল। সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট চারটি পরিবহন বন্দরের ভেতরে ঢোকানোর অনুমতি নেয়। তারপর মালামাল যে কনটেইনারে ছিল, সেই কনটেইনারের ভেতর থেকে তালা খুলে মাল দুটো গাড়িতে করে সরিয়ে নেয়। এ ঘটনায় দুটি মামলা হয়েছে। এ ধরনের আরও একটি ঘটনা ঘটেছে।




0 Comments
Thanks your Response.